পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ জল,
জানি সবে, এক ভাগ আছে স্থল।
জলে স্থলে পরিমাপ করি সমন্বয়-
গড়িলে যে জন, তিনিই চীর অব্যয়।
সৃষ্টি রহস্য কভু না ভেদিয়া তুমি,
জলাশয় যত ভরে দিয়ে গড়িলে ভূমি।
কাটিলে বন, উজাড় যত বন্যপ্রাণী,
না শুনিলে হায় জলজ বোবার বানী।
ঝঞ্জার গতিতে চলিল প্রগতির অশ্মরথ,
বিলীন হইল কত প্রাণীরাজ্য মনুষ্য জনপদ।
বিশ্বময় গড়িয়াছো তুমি বিলাসী জীবন,
ত্যাগের ইতিহাস রচিল কত নিরীহ মরণ।
প্রকৃতি যখন ভারসাম্যহীন হয়ে টালমাটাল,
আপন ধ্বজা নিল হাতে নিজেরে দিতে সামাল।
মহাকাব্য লিখে যাচ্ছে অদৃশ্য এক অনুজীব,
সাম্য প্রতিষ্ঠিায় সে উজ্জল কঠোর নির্ভিক।
ছুটে চলা তার প্রতিটি লোকালয়ে দিতে কম্পন,
যেন কালোমেঘে বজ্র পদাঘাতে শিলাবর্ষন।
বন্ধ হয়নি তবুও, সেই চোখ ধাঁধানো বিলাস,
ভুলে গেছে সবে’পম্পেই নগর’এর করূণ বিনাশ।
একটু বেশী পাবার, ঠকিয়ে ছিনিয়ে নেবার-
এহেন অভ্যাস এখনো হয়নি কারো পরিহার।
আমিত্ব হয়নি খাটো, প্রতিহিংসা না সংবরণ, কেউ চাইছেনা এদন্ডেও,আত্মার পরিশোধন।
দূরে বসে করিছেন তিনি প্রহর যাপন,
করুণা মাগিলে, হয়তো করিবেন আপন।