এইসব বিমর্ষ ভাবাপন্ন পৃথিবীতে একদিন
আমি আর কোথাও থাকবো না, তবুও
পৃথিবীর গাঢ়তর নিয়মের মতন আমার
গল্প আর কবিতা থেকে যাবে। তোমার
চোখের কিনারে গিয়া দাঁড়াবে, জানাবে–
আমি ছিলাম। সুন্দরের মতন তোমার
অদ্ভুত চোখজোড়া ছেড়ে আমি আসলে
কোথাও চলে যাইনি, যাওয়া যায় না…
তবুও, এইসব চরাঞ্চলের শরীরে প্রতি
শীতে বসন্ত আসবে, আর উড়ে উড়ে
আসবে বৈকাল হাঁস। লালশির, নীলশির
আর হরিয়াল পাখির ডানায় উড়বে
আমার সেইসব বিষণ্ণ গল্প আর কবিতা,
যেইসব গান আমার আগে আর কেউ
তোমাদের শোনায়নি। মূলত, কখনোই
কেউ কাউকে শোনায় না–একটা ধূসর
রাজহাঁস কতো বিস্তীর্ণ দুঃখ চিরে চিরে
পরবর্তী হাওরের শরীরে এসে নামে…
মানুষের শরীরে দীর্ঘতম শীতকালগুলা
জম রেখে সেইসব লালশির, নীলশির
আর ধূসর রাজহাঁসগুলা আবার চলে
যায়, কোনো কোনোদিন অন্য কোনো
শীতের রাতে, আবার উড়ে উড়ে আসে,
কোনো কোনো শীতে আর আসে না!
তবুও, পৃথিবির গাঢ়তর নিয়মের মতন
আমার গল্প আর কবিতাগুলা তোমার
চোখের বিস্মৃতির কিনারের কাছে গিয়া
দাঁড়াবে, জানাবে—আমি ছিলাম। আমি
তবুও, কোথাও চলে যাইনি, এই বিমূঢ়
পৃথিবীর বিষণ্ণতম বসন্ত ঋতুদের কাছে…
তোমার অদ্ভুত সুন্দর চোখজোড়া ছেড়ে
আমি আর কার চোখের কাছে যাবো?