মহাপ্রণয়ের রাতে জন্মেছি বলেই
মরি নাই প্রলয়ের আগে!
স্থির হয়ে গেছি সময়ের ঠোঁটে
– কোথায় জগদ্ধাত্রী?
অবিনাশী গেয়ে গেছি জাগরণী সুর!
পেরিয়ে শতবর্ষী দিনরাত্রি,
আমাকে গড়তে মগজ পুড়েছে
– মরতে মরতে কখনো মরিনি |
বিনিময়হীন কিনেছি সুনীল,
দীর্ঘ অনাবাদী ঘুমের ঊষর জমিন!
সুদীর্ঘ পাহারায় দিয়েছি গড়ে;
পায়রার চোখ,জলময়ুরের পালক
ক্রৌঞ্চকেলি এবং বিরহী ঘুঘুর ডাক!
যুথবালিকার অনিন্দ্য শরীরে,
আমিই সাজিয়েছি দীপ্ত ঝলক
– পেলব বয়ঃসন্ধি কাল!
কুসুমকুমারীও ভূষণকুমারের বুকে
– আমিই ডেকেছি প্রেমের বান |
আলোকবর্ষ দূরে দ্যুলোক মৃত্তিকায়,
বহু বীজপত্রী যেই ঘনবীথি
– পাতার পতনহীন সজ্জিত গ্রহ!
সারথী ছায়ার সিথানের কাছে,
অতলান্তিক ছুঁয়ে এসে থেকেছি বসে!
সেইখানে ঘুমিয়ে যাওয়া
– বিষাদিত বালিশের খোলে,
অনেক জনক জননী পিতা পিতামহ!
সুজিত সন্তান, বিলি কাটা সিঁথি
– সুচরিত কেউ ঠিক,সমাদরে আছে |