বাংলা কবিতা, অ্যান্টিবায়োটিক কবিতা, কবি অনিরুদ্ধ সরকার প্রথম - কবিতা অঞ্চল
4.6/5 - (9 votes)

আমি যদি বলি ঈশ্বর ভরা শ্রাবণে বৃষ্টির বদলে কবিতা ঝরাবেন,তবে তাই সঠিক।
মেনে নেও।

মেনে নেও মৃত রেললাইন,পাথরের কংকাল মাড়িয়ে চটচটে রক্তাত্ত পায়ে

আমি হাঁটছি তোমার দিকে।

নিন্দুকেরা আমার পায়ের ছাপ দেখে একদিন রটাবে আমার পায়ে হট টমেটো সস লাগানো ছিলো।

তুমি কি তাই বিশ্বাস করবে?
করলেও ক্ষতি নেই,নর্দমার কাক একদিন স্টেশনের ভাগাড় থেকে সত্যিটা ঠিক ঠুকরে ঠুকরে বের করে আনবে।

মেনে নেও এবার আমি আস্তে আস্তে দৌড়াচ্ছি।
গন্তব্য তোমার বাড়ি,যেখানে দেয়াল চিড়ে ভাড়া থাকে এক হিংস্র জারজ বটগাছ।
যাকে পাঁচবছর আগে
ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলো এক বসন্তবৌরি।

মেনে নেও,
এখন বিকেল চারটা ছয়,তোমার আমার দূরত্ব একশো মিটার।তোমাদের স্ট্রিট ল্যাম্পের বরফ মাখানো শরীরে হেলান দিয়ে সিগারেট টানা যুবকটা আমি।আকাশে মেঘেদের মিটিং বসছে।মেঘেরা এক এক করে আমার দিকে ফরাসি,জাপানি,ইংরেজি,বাংলা কবিতার লাইন ছুড়ে দিচ্ছে।

কিছু সময় পর  কবিতার ঝুম বৃষ্টি নামলো।
আমি ভিজে যাচ্ছি,আমার সাদা শার্টটা পাঁচ টাকার আঠার মতো লেপ্টে আছে গোটা শরীর।আমার চুপসানো চুল বেয়ে বেয়ে শঙ্খ ঘোষের কবিতারা চুমু খাচ্ছে জংলি কঁচু পাতায়।

মেনে নেও,তুমি সেদিন জানালার ফুটো দিয়ে আমাকে দ্যাখোনি,আমি ঐদিন ভিজতে ভিজতে ফিরে গেলাম।আমার গলা টিপে ধরলো খুনী শীত,জ্বর আলিঙ্গন করলো আমার তুচ্ছ শরীর।ওরা ডাক্তার ডেকে আনলো।
ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে দিলো।
আমি প্রেসক্রিপশন খুললাম,ডাক্তার লিখেছে-
তোমার ঠোঁটের চেয়ে বড় কোনো অ্যান্টিবায়োটিক পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments