4/5 - (3 votes)

লাবণ্যের পরে আর শিশির দ্যোতনা হলো না, নিত্য এক কাঠবেড়াল খোঁজে আগুনের ক্রন্দন যতো, রচে আজ হারাকিরি তোমার। এই অলৌকিক অহিফেনে মাখা তুমি, তোমার গহন অন্ধকারে সবই হয় বিষণ্ন কাকাতুয়া মরণ।

আমার জ্বলন্ত কাণ্ড দিয়ে দধীচিরে করি আবার দৈবজীব। কী ভেবে ফেলো রাশি রাশি অশ্রুজল? একি! মরণ! কতো ঘ্রাণ মর্মের বাণী! নর্তকীর অঞ্জনে জলের সাথে ভেসে আসে মৃদু দ্রাক্ষা আলো। ফিরে এসে দেখো।
আমার মতো অরণ্যচর ফড়িঙের গন্ধে ওড়ে অন্ধকারদৈব যত, তুমি অন্ধ হয়ে দিয়েছো এই বিস্মৃত রণভার। রেইনবো লরিকেটসের গায়ে অজস্র ম্যালিগন্যান্ট সাইন;— ভৌতিক রসাতলে ডুবে পৃথিবীর অস্ত যাওয়া দেখি। কতো যে অন্ত হয় এই সমুদ্রের! কতো যে বায়ু আজ ক্ষয় হয়! কতো যে তোমার রণক্লান্ত মুখ, বহ্নি লজ্জা… কতোদিন আর আলো, সমুদ্র মন্থনের বিষ তুলে নিয়ে চোখে, অমর হওয়ার দিকে এগোবে ক্রমশঃ?

আমার সমস্ত অঙ্গ জুড়ে অ্যালিজারিন ক্রিমসন, যেন মৃত্যুময় যত আলোর ফলক। তুমি মর্গের মতো সুন্দর হলে, এই রঙ আজ ভয়ানক গান হয়ে ওঠে।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments