Review This Poem

মুখোশ থেকে ~


নগ্ন অর্ধনগ্নভাবে সত্য
আচমকা সুরভিত সকালে
ফুল থেকে কাঁটায়
স্তনের বোঁটায় ~

ভালোলাগা লোলুপ চোখ বসিয়ে দিচ্ছে পাথরের

একটু গা-সওয়া আদর

আদরের বিভিন্ন ভঙ্গিমায় চতুষ্কোণ
ত্রিভুজ অতিভুজ এবং স্বচ্ছতার বিকীরণ

রাজনীতি অর্ধনগ্ন গন্ধ পচা গলায়

নাক ও মুখ ~

সত্য আপেক্ষিক গোপন ও অলৌকিক সুন্দরের দিকেই~


পাজামা খোলা আকাশ এবং একচিলতে হুক খোলা আলোয় ডুবিয়ে দিচ্ছে ~

প্রাণ গলা অবদি বেড়িয়ে পড়ার উপক্রম

ক্রমানুসারে বোতাম নাড়া ও ইলাস্টিক টেনে নামিয়ে এনেছে রাত অবদি

জানালায় রক্ত বমির ইশারা~

ঘরের ভেতর অক্সিজেনবাহী গাছের আদর
চারিদিকে ঝকঝকে মুক্তো গোলাপ জেগেছে


আয়না আমার কথাই ফিরিয়ে দেয়
মাঝে মাঝে তোমার কথাও

গোপন আস্তিন থেকে বেড়িয়ে আসছে
খোলামেলা বাঘের পোশাক

এক আকাশ জলরং
জলের কোলাজ

আর ডাঁই করা ভালোবাসার খেজুর গুড়ে
পতঙ্গের উড়ান


আঙুরের ডালে মনখারাপ ~

হতাশাগুলোর ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে
মনখোলা লোলুপ স্ফুলিঙ্গ

তোমার খোঁপায় বেলির আকর্ষণ ~

তুমি কি জানো না কেন এই সাজগোজ
কে দেখবে এই আগুন ঝলমল
রূপের নৌকায় পালতোলা নাবিকের হাপিত্যেশ

ভেতর থেকে কেউতো এসবকিছুর স্বাদ নিচ্ছে


তোমাকে দেখে ভেতর খলবল ~
নিংড়ে দেয় কাপড়

জল শুকিয়ে এই কাঠফাটানো রোদের ভালোবাসা
সব আফিম ও নেশা জর্জরিত দৃশ্যের ভেতর
মাছগুলো ~

আঁশটে চারিদিকে জমাট
ব্লটিং করার উপকরণ কিংবা কোনো মন নেই

রুটির উপর শুধুই মাখনের প্রলোভন


একটু দূরে কুকুরের চিৎকার থেকে বেড়িয়ে এসে শোনা গেল

ঝরনার শরীরে একফোঁটা নদী নেই
গ্রামের কোল ঘেঁষে চলে গেছে বহুদূর

শুধু মাছের জালে সময়ের আঁশ

চিপকে আছে


কোমর থেকে পেঁচিয়ে মন নেমে যাচ্ছে
তোমার অন্তরঙ্গতায়

জল হয়ে যাচ্ছে
চারিদিকে জল আর জল

ভালোবাসা কামনার নিগুঢ় রসমালাই
জিভের লালা

টোপ টোপ গড়িয়ে পড়ে ~


এসব বিবস্ত্র কথার চিটেগুড়ে মাছি ~
জলের ওপর লালপিঁপড়ে

বুকের গভীর জঙ্গলে ডুবে যাওয়া
কাগজের নৌকো বানাতে মরিয়া হই

কুঁড়ি থেকে ফুল

ফুল থেকে ঝড়ে পড়া সুন্দরের বন্দনায়


এখনো বেড়িয়ে আসা গেলো না নিজের মুখোশ থেকে
ভেবেছিলাম নিজের সামনে দাঁড়িয়ে তর্ক করবো দুজনে

পচা-ডিম পাকা-টমাটো ছেঁড়া-জুতো ছুঁড়ে মারবো হারামিটাকে


সেই থেকেই পা-খালি ফুটো-পকেট
এবং ১টি ফাঁকা-মন নিয়ে ঘুরছি তোমার বুকের ভেতর

কিছুটা নেমে গিয়ে সব নেড়ে চেড়ে দিতেই ব্যস্ত ইচ্ছের বিরুদ্ধে

বেশির ভাগ সময়ই মানুষ গাছ হয়

অথচ মনে পুষে রাখে এক ডোরাকাটা ~

১০
এক দিলখোলা শিকারের হাতে নিহত সন্ধ্যা
যোনি বেয়ে প্রসব করে আলো

আমাকে বন্ধু বলতে নারাজ
হাতখোলা পাখা
শৈত্যপ্রবাহ আনে~

হাওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু না বলা শব্দের যুদ্ধবিগ্রহ
বুকে তালিম নেয় সাম্রাজ্যের দাঁত ও নখ

মুখোশ থেকে নগ্ন অর্ধ নগ্ন সময় হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে

১১
বারোটা বাজার পূর্বে এগারোটা উনষাট

আবার বেজে যাওয়ার পরও ঘন্টা

আজ না হয় কাল নিভে যাবে দম্ভ

বাজার দর নেমে আসবে হাতের নাগালে
আমাদেরও হাত থাকবে না
তর্জনী থাকবে না চিহ্নে

এখন পুকুর মেরে মাছের পেট চিঁড়ে খোঁজা হচ্ছে
অধিকার

১২
রসে টইটম্বুর বাতাবি লেবুগুলোর উপর ঘোরাফেরা

অনেক জমায়েত পঞ্চরসের সমারোহ
এতো কথার ভেতরও তুমি মাথা হেঁট
চলছো গাড়ি চালাচ্ছো ফুটবল খেলছো

খেলা হবে খেলতে গেলে ব্যথা
আনন্দও বয়ে আসবে জানালায়

১৩
এতোদুপলক্ষে যে বয়প্রাপ্ত উলঙ্গ প্রজাপতিগুলো
রং-বেরঙের উড়ান নিয়ে খেলছে আকাশ
তাদের গোপন অঙ্গ একমাত্র প্রাপ্তমনষ্কদের জন্যই
উজার করে রাখা হলো

যারা এই সীমানা অতিক্রম করবেন
অবশ্যই প্রেমে পড়বেন বার বার
এই বিধি নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে
আমার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হলে
শত্রুপক্ষ সমর্থনের আলোয় আলোকিত হোক এই মনস্কাম

১৪
পার্বণ শেষে মা চলে যাবেন
মায়ের পায়ের আলতায় লাল কিংবা
সবুজ ঘাসের ডগায় ফুটে উঠবে ঝুমকো লতা

ঊর্ণনাভের সমুদ্র
ঢেউয়ের যৌবন থেকেও ঘটি ভর্তি প্রেমের গোলমরিচ
পিরিচে রাখা পদ্মের নতমুখ

অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কলস খালি করে উবে যাওয়া

মায়ের বন্দনা চির সবুজ নতুনের সমারোহে
লালিত হয় মনের ভেতর

১৫
আবার দেখা হবে ফসলের
নোনা লাগা মাটির গহ্বরে
ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে সোনালি ধান
শীর্ণ তালপাতা বাজবে আলতো হাওয়ায়
আর তোমার লিপস্টিকে লিপিবদ্ধ আমার হারেম

ঢেউ তোলা নদী শরীর বেঁকে তলিয়ে নিয়ে যাবে আবার

তালিকা থেকে বেরোতে চাইনা
জন্ম জন্মান্তরে

১৬
বেঁচে আছে চরিত্রের দু-চার কড়ি
যখন কোমল থেকে উঠে এলাম কোমরে
ঘুলঘুলিতে ডানা মেলে
যত্রতত্র অবাধ্য আলোয় মাছের পাখনা
জলের নীচে চরম ধার্মিক ডুবন্ত জাহাজের মাস্তুল
নগ্ন সত্যদের উদ্ভাসিত করার লক্ষ্যে উসকে দিচ্ছে কাঠি

আমরা দাঁড়িয়ে আছি কে কার আগে-পিছে

১৭
এবং এই শোরগোল
ঢাকের রেশ থাকবে কিছুকাল
সুন্দরের কাছেই আমি বন্দী চিরকাল
আমার জীবাশ্ম জীবানুবাহিত জিন সম্পাদনা করছে নতুন ধান
চারা থেকে প্রস্ফুটিত চারধাম

তোমার মসৃণ ঠোঁটে দাঁত চেপে সমবেদনা জানাই
আর আফিমের নেশার ঘোর অন্ধকার
ছিঁড়ে প্রভাতের আলোর ইশারা ~

চোখে জল ছেটায় স্পষ্ট আলোর এক দ্যূতি ~

১৮
মুখোশ থেকে টেনে বের করলাম একটা প্রতিবিম্ব
একটা ছায়া উজ্জ্বল মুক্ত আবরণে
পোশাকের ভেতর মিথ্যের প্রলেপ থেকে বন্দী আমিটাকে টেনে
উন্মোচিত সূর্যের সাক্ষর আলোয়~

একেবারে খটখটে শুকিয়ে পুড়িয়ে গলিয়ে
গড়ে তুলি অলংকার

একটা স্বচ্ছ আয়নায় নিজেকে গোসল করিয়ে এসো মুখোমুখি হই ~

১০/০৭/২০২২

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments