বোকা জলযান
(৫-এ পঞ্চবাণ + নেশা জর্জরিত সুড়সুড়ি)
০
আফিমের কাটলেট
এই রক্তশূন্যতার আড়ালে তোমার ঠোঁট
প্লেটের ওপর রাখা কাটলেট
কাঁটা চামচ নয়, চোখ পান করছে
কিছুটা অধিবাস্তব। ঘুঘুর বাসা।
মগজে ~
যখন তুমি ছবি হয়ে যাচ্ছো
সামনের বাগানে অনেক ফুল কুড়ি থেকে হেসে উঠছে~
১
পৌরাণিক জল
অপলক কিছু মেঘ আর বিদ্যুৎ ~
ভেতরে অনেকদিনের জলও…
রোদের ফাঁকে ~
তোমার বুকে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়ছে
এই অন্ধকার~
২
আদাজল
হাঁটতে শেখা শিশুটি
নিতান্তই শিশু
নাকি তার আচরণ শিশু সুলভ বলেই তাকে বলছো?
–তা কি হয় নাকি?
শিখতে শিখতে হাঁটছে
হাঁটতে হাঁটতে পড়ছে
পড়তে পড়তে…
আর আদাজল খেয়ে লেগেছি তো লেগেই আছি
ছাড়ছি না
৩
ঈশপ-এর কফিন
তুমি শেয়াল না হলে ধরতে
–তার মানে…?
–কল, কলটা
–মানে তুমি কি আমাকে জন্তু বলছো?
–না! না!
বলছিলাম তুমি বুদ্ধিমান
৪
ফুরফুরে বাতাস
কথাগুলো অ-বর্ণ, বর্ণহীন
রং না-থাকা ডানার ফুরফুর~
= তোমাকে কল্পনা করে দেখলাম সাযুজ্য
আছে কী নেই!
তারপর সিদ্ধান্তের দিকে বলটি অগ্রসর হতেই ~
সব হারানো আঙটির মতোই মনে হওয়া~
অলৌকিক মেঘ করে আসা ছাঁটে ভিজে যাওয়া অবয়বে হাত বুলিয়ে বানিয়ে তুলছে কুমোর
এই দেখার রাজ্যে আমিই একমাত্র রাজপুত্তুর হয়ে
জেগে আছি
অপেক্ষা করছি তোমার~
৫
বাছাধন
মানুষের থেকে টুপ করে মানুষটিকে তুলে
রসগোল্লা ভেবে গলায় আটকে ফেললেই
এ-রাজ্যে এমন বোকা-জলযান নদীতে ভাসতে দেখা যায়
জলের মতোই সহজ অপচয় দেখে
কাঁটাগুলো বেড়ে ওঠছে গোলাপে
গোলাপি আভায় মন আটকে গেলে
কে বাঁচাবে বাছাধন~