বন্দী সময়ের আলোর অন্তরাল
আমিনুল ইসলাম
২৪/১০/২১
বেলুন
ফুঁ-এর ভেতর অন্ধ জীবনের তাল্লুকাত
ক্ষণিকের ওড়াউড়ি~
তারপর শ্বাস ফুলে ওঠে
হাওয়ায় হাওয়ায়~
জনান্তর-বনাঞ্চল পেরিয়ে ~
চুপসে যাওয়া বদনাম
আয়নায় ফেরি হয় চরিত্র
একটু নুনঝাল~
গরম তেলে ভাজা জিলিপির একাগ্রতায়
গভীর চিটচিটে মোহ~
মৃত্যু! খুব কাছেই রেখেছিল ফাঁদ
আর জলবিম্বের মৌতাত মাছির ডানায় ~
অসংখ্য ছটফট ফেটে যাওয়া চতুর্দিক এবং…
আফিম
ভুলতে গেলে খেতে হয়
খেতে গেলেও ফিরে আসে
মনের কুঠুরি থেকে বারান্দায়~
দাঁড়িয়ে থাকে ছায়া।
দুপুরের টানাটানি, নূপুরের ছলনায়
উত্তাল কথা গাঁথা-মালায়
ছাড়তে গেলে জীবন ছাড়ে না কায়া
তবুও ভুলতে হয় অজানা দৌরাত্ম~
হুটহাট বুকের জানালা খুলে
আকাশ খাওয়া প্রজাপতির চোখ-মুখে
লেপ্টে যাওয়া আলেয়া~
চাবুক
প্রথমেই প্রণাম করে নিও
১বার হাত ফসকে পিঠের ওপর
আদরের গিটারটি কেঁদে ওঠলে
ছলছল চোখে নৌকোর উৎপাত
দাঁড় টেনে মাঝি মধ্য-দরিয়ায়
দরদিয়া শ্যামাসাধনার অগোচর~
পিছু ডাক!
হাঁটা পথ সুগম অন্ধকার ফুঁড়ে
সুনির্দিষ্ট ভোরে~
অসংখ্য কাকাতুয়া…
উড়াল
মন থেকে ১টা জনপদ ব্রহ্মবর্তে ~
ইঁদুরের দাঁতে ঘড়ির রুদ্ধ-শ্বাস
আর১টা জনপদ চোখের সুগম্য জানালায়
এক চিলতে মনের খোরাক জোগায়
আর পকেট থেকে মাউথঅর্গানটির হাসি
বাজারের পণ্য হলে
সেখান থেকেই স্বপ্নে নানারং মিশেযায়
কবিও কবিতায় জানালা রাখলেন
অবাধ পাখির যাতায়াত
আর বেরসিক দারোয়ান অবাধ্য দরজায়
অথচ ঘরের ভেতর ঘর হারানো
বাইরের পৃথিবী সামিল ~
আলো
সে নিজের পায়ের ছবি দেখতে নারাজ
অবতল কাচে উত্তল আবাস
সম্পর্ক কিছু মসৃণ সুতোয়
অন্ধকারে নিজেকে হারিয়ে ফেলে
অথচ দু’জনের অগাধ প্রেমে
বন্যা আসে ভেসে যায় ঘরদোর
বাক্স-বন্দী জীবনভর
ডানায় দীপ্যমান মানুষেরা~