ট্রেনের এপার ওপার থেকে তোমার আমার দুরত্ব টেনে তুলল কেবল মাত্র একটা খোলা জানালা। হাতের মুঠোয় গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম সর্বশেষ ঘোষণায় ট্রেন ছাড়ার হুইসেল বাঁজার আগঅব্দি।
ছন্দের পতন ঘটে যাওয়ার মতো তোমার চোখ এতোটাই নিচের দিকে তাক করিয়ে রাখা যে, অণুবীক্ষণের তীব্র রে তোমার দৃষ্টি নালী ভেদ করে কর্ণিয়া থেকে মাটিতে নিক্ষেপ্ত হতে লাগলো।
আর্জেন্টিনা বিল্ডিং এর পাশ ঘেঁষে হাত কুঠুরে ভাঙ্গা কনক্রিটের জঞ্জালের উপর ত্রিপল টানা চায়ের দোকানগুলো হয়তো জানেনা তোমার আমার পথ চলার অতীতের কল্পনাতীত অবাস্তব গল্পগুচ্ছ।
তবুও এক কাপ আদা জল দিয়ে ঢেকে যাওয়া চায়ের উপর কালো জিরের ভেসে বেড়ানো দেখে নিজেকে ভাসমান উদ্বাস্তু ভেবেছি কতবার। কতবার ঠোঁটের কোনায় জনপ্লেয়ারের ভ্যাকুম টেনে আকাশে উড়িয়েছি একরাশ শুদ্ধতম বিষন্নতা।
দরজা টেনে বেরিয়ে যেতে যেতে দেয়ালের তালিকা কত দীর্ঘ হয়েছে কেউ কি তার খবর রাখে? কত লম্বা হয়েছে আস্বাদনের অপারগতার সারিবদ্ধ ইচ্ছেরা। কতটা প্রশস্ত এই জমতে থাকা রোনার হ্রদ।
সব ভেবেছি শুধু ভাবা হয়নি একটা লাইন।
তুমি আর আমি শুধু রেললাইন রেললাইন।
তুমি আর আমি শুধু রেললাইন রেললাইন।
তুমি আর আমি শুধু রেললাইন রেললাইন।