মাঝে মাঝে খুব অপ্রত্যাশিত মনে হয় নিজেকে,
যাওয়াটাও তেমন অপ্রত্যাশিত হবে দেখে নিও।
প্রবল আকাঙ্খার জন্ম দিয়ে
উর্বর তোমাকে একলা করে
হঠাৎ উধাও হয়ে যাবো একদিন।
সেদিন তুমিও বুঝবে,
কেমন বোধ করতাম অসমাপ্ত আত্মজীবনীর
পান্ডুলিপি হাতে করে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে।
সব কাগজ ছেপে দিবে শোক বার্তা
প্রতিটা মাধ্যমে সমবেত বাঁজবে করুন সুর
হয়তো আমারই রেখে যাওয়া কোন গানের সুর।
তোমরা বলবে অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেলো
আমিও সেটাই বলবো, তবে দাঁত মুখ চেপে হেসে হেসে
সঙ্গে আমার নির্লিপ্ত চোখ তোমাদের দেখবে চুপিসারে
আমি ক্ষমা করবো অনায়েসে
কেবল তোমরাই মুখ লুকাবে।
তোমরাই অদৃশ্য হয়ে যাবে
স্বরণ সভার প্রথম সারি থেকে।
তোমাদের কান্নার রোল শ্যালের ফ্লোর থেকে শুরু হয়ে
পিয়াসী তারপর সাকুরা হয়ে পাঁচতারা হোটেলের
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের বিছানায় আছড়ে পড়বে।
তোমার ক্ষোভ ঝেড়ে পড়বে কসবির শরীর জুড়ে
তোমার অস্ফুট শব্দ এক প্রবল বিস্ফোরণ ঘটাবে।
আমি শুনবো… হাসবো… গড়িয়ে পড়বো
তোমাদের আক্ষেপের পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হওয়া
কোন এক অপ্সরীর কোমল স্পর্শে।
আমার পঞ্চভূতের দেহ তার প্রতিটা ইন্দ্রিয় মেখে
ভোগ বিলাসে মত্ত থাকবে জেনে রেখো।
আমার ষড়রিপুর প্রদর্শনী বসবে সেদিনের সন্ধ্যায়
আর…
সে থাক। তোমার দুঃখ বাড়িয়ে আমার কি লাভ?
নিজেই বরং নিজের দুঃখ পুষো।
নিজের কর্মে নিজেই না হয় দুষো।