একটা কবিতায়!
আমি যখন হাটু তুলে দেয়াল হেলিয়ে বসে চুপচাপ ঘাপটি মেরে থাকি বিসর্জিত কোন ঘাটের মুন্ডুহীন দেবী কিংবা ধ্বসে যাওয়া গম্বুজের সামনে।
দুরের হাওয়ায় আজান মিলিয়ে যাওয়া কাঁসার থালার ঢংঢং আওয়াজ কিংবা ধুনচি নাচের ধুপ থেকে ঝড়ে পড়া কিছু শুঁকনো নারকেল খোসায় আমি দেখি শূন্যতা
সেই মহাশূন্যের গর্ভে বিলীন নির্লিপ্ত মহাকাল তার আলোকরশ্মির যতটুকু এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন, ততটুকু জুড়ে আমি দেখি লৌকিক সভ্যতায় জর্জরিত কিছু মানুষের পৈচাশিক অভিব্যাক্তি।
আমি দেখি অদৃশ্য অ এর সংস্পর্শে মিশে থাকা ধর্ম, সাধু আর বিশ্বাসীদের আস্ফালন। যার ভেতরটা অন্তঃসারশূন্য এক ধুলোবালির পুরু আস্তর।
নোংরামি আর কদাকার আচারে পরিপূর্ণ কিছু মানুষ যখন আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে মানুষের কান্না চুষে খায়, রক্ত চুষে খায় তখন তাদেরকে কেবল মানবাকৃতির দানবীয় বিভৎস বিভীষিকা মনে হয়।
মনে হয় কোন জরায়ু থেকে নয়, গর্ভ থেকে নয় বরং জ্বালামুখের অগ্নিময় লাভা থেকে তাদের জন্মই যেন পৃথিবীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে অঙ্গারে করে দেয়ার প্রতিজ্ঞায় চিরন্তন দায়বদ্ধ।
ধর্মের মানে কি জানতে চেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি কতবার তার কোন ইয়াত্তা না জানা আমি যবে পুনরায় প্রশ্ন ছুঁড়েছি তোমার সেচ্ছাসেবীর মাখন গলে যাওয়া নাক বারাবর। বাম হাতের রুমালে কৃতদাসের চিহ্ন বিলীন করার ব্যার্থ চেষ্টায় আমাকেও লাঞ্ছিত করতে এক লহমার বিলম্ব করেনি কোন মহাপ্রাণ কিংবা পুরুষ।
তুমি না জানতেই পারো। জানা নাই বা থাকতে পারে
মানুষ মানে কি?
ধর্ম মানে কি?
সমাজ মানে কি?
অথবা সম্প্রীতি কাকে বলে?
তোমার জানতেই হবে… এমন নয় ত্যাগ কাকে বলে? কোন দরকার নেই সহিষ্ণুতার শিক্ষা তোমার। কেউ জানতে চাইবে না স্থিরতায় কেমন তুমি কিংবা স্থবির কখন হতে হয়।
তুমি কেবল পার্থক্য খোঁজ গরুতে আর শুয়োরে
তোমার ইমান শক্ত কেবল লিখিত কালো কভারে
মোবাইল ডাটার অর্ধেক দিয়ে যাদের তুমি শোন
তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করো কতোটা তুমি মানো
রক্তই যদি হয় তোমার নৈবেদ্য
তবে ছিঁড়ে নিয়ে যাও হৃদপিণ্ড
ফিনকি দিয়ে ছোটা রক্তে তুমি নোনতা স্বাদের তরল দেখবে ঠিকই। শুধু দেখবে না কিছু মরমী মাতাল পাগল যাদের আব্রু নেই তবুও পবিত্র তারা। যাদের নাম হয় না কোন উঁচু দালানের নেমপ্লেটে তবুও সীমাহীন উচ্চতায় অলিখিত বাক্যে তারা জীবন্তিকা যুগের পর যুগ।
তোমাকে ভাবতে হবে না কিছু।
তুমি কেবল বেরিয়ে যাও হুংকার দিয়ে তোমাকে শেখানো বুলির ঝংকারে। আছড়ে পড়ো যেমনটা পড়ে ঢেউ বালির পৃথিবীতে। অভদ্র আর ইতরের বেশ ধরে বেঁচে থাকো মানবদরদীর মুখোশে চিরন্তন; শয়তান আর ইবলিসের চেহারা নিয়ে চিরকাল।
তোমাকে ছিঃ! থুথু তোমার ইচ্ছা আর গোঁড়ামির প্রতি।
চিরন্তন অভিশপ্ত হও হে গোঁড়া প্রভুপতি। ধ্বংস হও।