সামান্য প্রেম চাওয়ার অপরাধে
যে বালিকা আমায় মৃত্যুর মঞ্চে ঠেলে দেয়।
যার স্নিগ্ধ দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা যে কোন পুরুষের মন
কেটে টুকরো করে দিতে পারে নিমেষে।
আমি তাকে প্রায়শই বলতাম;
তুমি চশমায় ঢেকে দাও তোমার চোখ।
তোমার খুনি নির্দয় নিষ্ঠুর চোখ।
প্রশ্ন করলাম; একটা তাচ্ছিল্যের হাসির মধ্যে
কতোটা চুম্বক থাকতে পারে? কিংবা একটা চিৎকারে?
আমি অসার হতে পারি, তাই বলে অবোধ নই মোটেও।
দন্ডবিধি প্রেম ধারা মোতাবেক মৃত্যু দন্ডের ফেরারী
আমার আয়ু নির্ধারন করা হয়েছে এক চুম্বকাংশ।
অথচ এক পলকের স্বাদ বাকি থাকতে,
মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে দিতে আমি নারাজ।
বিস্ময়কর তবুও সত্য, চুম্বনের প্রথম শর্ত অন্ধকার।
তাই বন্ধ থাকা চোখ শর্ত পুরনের মোক্ষম হাতিয়ার ।
এবার বলতো…
আমার এই এক পলকের আয়ু কেড়ে নিতে পারে কে?
একমাত্র সে…
যার হৃদয়ে আমার জন্য ছলনারা বসবাস করে।
কিংবা চোখে আশ্রিত হয় কামনা।
আমি নির্বোধ ছিলাম বটে;
তবে প্রেমিক ছিলাম। নিরঙ্কুশ নির্মোহ প্রেমিক।
তাই তুমি আমায় দন্ডিত করতে পারোনি।
বরং আমিই এগিয়ে গিয়েছি তোমার মঞ্চে।
আমার দিগম্বরী কায়া কিংবা অশ্রু সজল চোখ
তোমার যা খুশি কেড়ে নাও; যত খুশি তোমার,
কিংবা ছলনার, কিংবা কামনার।