মেট্রোতে করে এসপ্ল্যানেড।
অতপর… তুমি হাঁটছো আমার ছায়াপথ ধরে,
ন্যাশনাল মিউজিয়াম!
সদর স্ট্রিটের বুক চিড়ে চৌরঙ্গী লেন বরাবর।
তোমার গন্তব্য যখন টোটি লেন ছেড়ে
গিয়ে হার্টফোর্ডের গায়ের সাথে মিলেছে;
ঠিক তখনি একটু ধীরে তুমি; পথ থামিয়ে,
দৃষ্টি তাক করলে সড়কের কোণে
ঠাসাঠাসি করে দাড়িয়ে থাকা;
জরাজীর্ণতায় আচ্ছন্ন ধুসর মলিন,
পলেস্তারা খসে পড়া বাড়িটার দিকে।
হ্যা! ঠিক দাড়িয়েছো।
একদম কবিগুরুর ম্যুরালের সাথে পাশাপাশি দাড়িয়ে,
যেন কাতারে বদ্ধ মিছিলের আয়োজন এখনি।
তক্তের দারোয়ান; যার হাতের তালুতে পিষ্ট;
খৈনীর গতিপথ বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে,
পলাশীর আমবাগান থেকে পালিয়ে মুর্শিদাবাদ
যুদ্ধে বেঁচে ফেরা নীল চাষির ফুসফুসের উত্তাপ।
তোমার কাঁধে চাপানো ভারী মাউন্টেইন ব্যাগ;
কাঁধ ঝুলে খঁসে পড়লো হাওয়াই চটির উন্নয়নে
গেরুয়া স্পাইক বসানো শক্ত পিচের উপর।
প্রবল অভিমানে।
যেমন অভিমান হলে একসাথে থাকা হয়,
সব খেয়াল রাখা হয়, গুছিয়ে রাখা হয় সব,
কেবল কথাটা হয় না।
ইচ্ছে থাকলেও বলা হয় না ফিরবো না।
ঠিক তেমনই এক অভিমান কাঁধ থেকে নামিয়ে,
হাতল ঘোরানো কাঠের সিঁড়ি ভেঙ্গে
বিরক্তি আর উৎকন্ঠিত মেজাজে উপরে তুমি।
ওয়েটিং লবিতে পুরনো খবরের কাগজ;
বাতাসে উড়ে থেমে যাচ্ছে পেপার স্টোনে।
অথচ তোমার অনুসন্ধিচ্ছু মন তখনো থামেনি।
হাত ঘড়িতে সময় তাগাদা দিচ্ছে; ৭টা বাজলো?
ফিরোজ তখনো নামাজ শেষ করেনি;
তুমিও কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ
দীর্ঘায়িত করছো আমার অবাধ্য স্বাধীনতা।
ফিরোজ ভাই… চাবিটা!
আবারো ৩০৩ নং কামরা।
হাতে ওল্ড মংক, মাসালা থাম্বসআপ
সঙ্গে একটা জীবন্ত কবিতা।
যেটা তুমি এখনি পড়লে!
প্রচন্ড শব্দে পাশে থেকে যখন ভেসে আসছে,
হ্যাপি নিউ ইয়ার…
ঠিক তখনি হাতের গ্লাস উঁচিয়ে আকাশ ছুঁলো
চিৎকার করতে করতে তুমি বললে…
চিয়ার্স ডিয়ার পোয়েট, চিয়ার্স ফর টুডে
চিয়ার্স ফর টুমোরো, চিয়ার্স ফর-এভার।।
অদৃশ্য আমি হেসে উত্তর দিই
চিয়ার্স ফর কামিং মাই ডিয়ার।
চিয়ার্স ফর রিমেম্বার মি…
চিয়ার্স ফর একম্পেট মি এভার।