ধর্মের একটু কটুক্তিতে মানুষ যে হারে, যে স্পিডে প্রতিবাদ করে বয়কট করে; ঠিক এমনটার অর্ধেক প্রতিবাদ বা বয়কট যাদি সমাজের অবৈধ কর্মকান্ডে যারা লিপ্ত, যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, যারা ধর্ষণ করে ধর্ষক, যারা সমাজে বুদ্ধিজীবিরদের মাঝে থেকেই মদ বিক্রি করে, ইয়াবা টেবলেট বিক্রি করে, গাঁজা বিক্রি করে যুবসমাজকে ধবংস করে দিচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে করত তাহলে আমাদের সমাজটা কতইনা সুন্দর হত…… ;
আর অন্যায়ের প্রতিবাদতো অবশ্যই করা দরকার কিন্তুু সেটারও তো একটা ওজন থাকা দরকার।
একটা ছেলে দোকান থেকে ক্ষিদের জালায় কেক চুরি করে খেয়ে ফেলল। তখন ওই দোকানদার তাকে ধরার পর তাকে মেরে ফেললেইতো আর সঠিক বিচার হলনা। বিচারটা,শাস্তিটা বা তার অন্যায়ের প্রতিবাদটাত তার অন্যায়টার দিকে চেয়ে করতে হবে!
কটুক্তিটা কি ছিল আমি এখনো দেখিনি শুনিওনি। আর এসব শুনার আমি প্রয়োজনও মনে করিনা। কারণ এসব হবেই,করবেই, সমাজের একটা শ্রেণী ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে ধর্মগুরুদের কটুক্তি করে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের সঠিক লক্ষটাকে divert করতে এসব করে থাকে। তো এসবে কোনো মাথা ব্যথা আমার নেই।
কিন্তুু আমার একটা কথা বুঝে আসেনা। অন্যদেশ থেকে যারা প্রতিবাদ করছে ঠিকাছে তারা প্রতিবদ করতেই পারে। বয়কটও ওরা করতে পারে যেহেতু ওদের দেশে ভারতীয় পণ্য আছে। কিন্তুু ভারত থেকে যারা ওদের সাপোর্ট করছে তারা কি আদৌ সঠিক ভাবে সাপোর্ট করছে??? তারা যদি ওদের প্রতিবাদগুলোতে একমত হয়, তাহলে হিসাবে তো তারাঅ বয়কট করা দরকার তাইনা;
কিন্তুু আমার কিছু বুঝে আসেনা, তারা প্রতিবাদও করে, আমার ওদেরকেও সমর্থন করে! তোমরা তোমরার মত অবশ্যই প্রতিবাদ করো, legal action আছে legal action এর সহযোগিতা নাও এগুলো করতে পারো তারপর FIR করতে পারো, কিন্তুু না তোমরার প্রতিবাদ দেখি মাতাল প্রতিবাদ। কার্ল মার্ক্সের সেই ঐতিহাসিক বাক্যটা আজকের যুগে সত্তিই প্রাসঙ্গিক।
যারা এই ব্যপারটা সমঝোতায় না গিয়ে বয়কট বয়কট করছে তারা নিজেও জানেনা তারা কতটুকু মাতাল। ভারতে পণ্য বয়কট করতে হলে ভারতের বাতাসটাকেও বয়কট করতে হবে অশিক্ষিতের দল! ভারতের গায়ে বয়ে চলা যে বাতাস পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বয়ে চলেছে, যে বাতাসে ভারতীয় প্রতিটা নাগরিক সহ যারা কটুক্তি করে তাদের গায়ের গন্ধ ও ছুঁয়া যে লেগে আছে পারবি কি তোরা সে বাতাসটা বয়কট করতি? পারবিনা! তোরা এমনই মাতাল প্রতিবদি 😄
আমি বলছিনা যে ওনার বক্তব্যটা ঠিক হয়েছে, ওনি ঠিক করেননি, ওনার অন্যায় হয়েছে এটা। কারন ধার্মিকদের অনুভূতির কথা বাদ দিলেও ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, সে জায়গায় দাড়িয়ে দেখলেও এটা মহা অন্যায়। তারজন্য ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে, বসে, লিগ্যাল ভাবে, আইনি সহায়তা নিয়ে আমরা তার প্রতিবাদ সহ বিচার করতে পারি। ভারতের অভ্যন্তরিন সমস্যা ভারতেই এটা মিটমাট করার চেষ্টা করতে হবে। যদি এখানে সঠিক বিচার না হয় তখন আন্তর্জাতিক রয়েছে, Human Rights রয়েছে, তারপর ধাপে ধাপে এগিয়ে যাও!
কিন্তুু তা নয়, এ কি কান্ড যেই বলা, সেই আফিম, আর সেই কি নেশায় মাতাল, আহা মানুষ কবে যে এ নেশার ঘুম ভাঙ্গবে….৷
যাক অনেক কথা কইলাম জানি আমাকে অনেক বড় বড় ফেইজবুক মুল্লা নাস্তিক উপাধিতে ভূষিত করবেন। তবে আফনেরা মনে রাইখেন আপনাদেরকে এ কটুক্তির মাধ্যে অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মাধ্যমে, আপনাদের সঠিক চিন্তাভাবনা, লক্ষ থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এগুলো রাজনৈতিক ও মালিক শ্রেণীর চক্রান্ত…….!
সবাই ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন, পৃথিবীর অবস্থা বেশি ভালো নয়। অনেকদিন ধরে দেখছি পৃথিবীর বড় অসুখ। শুনেছি এ অসুখের নাকি কোনো ঔষধ নেই। পৃথিবীটা দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঢলে যাচ্ছে। আমি আপনি আপনারা চাইলেও পৃথিবীকে এ মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে পারবোনা। তবে আমার বিশ্বাস আমরা পৃথিবীর সকল মানুষ মিলে একসাথে চেষ্টা করলে পৃথিবীর বাকি জীবনটাতে একটু সুখ এনে দিতে পারি। আমরা চাইলে তার এই মরণব্যাধি রোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে একটু শান্তি শান্তি দিতে পারি। এই মানুষে মানুষে বিভেদ, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, হিংসা এগুলো ছেড়ে দিলেই পৃথিবী শান্তিতে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়বেন, তার কোনো কষ্ট হবেনা, কোনো আফসুস থাকবেনা, সে দেখবে তখন পৃথিবীতে আর অমানুষ নেই কারণ সকল মুখোশধারী ধার্মিকের বিলুপ্ত হয়ে এখন সব মানুষে রুপান্তরিত হয়ে গেছে….. ।
তাই চলুন আমরা সবাই অন্ধকার থেকে বেড়িয়ে, উগ্রপন্থা থেকে বেড়িয়ে, উগ্রচিন্তাভাবনা পাল্টিয়ে আসুন আমরা সবাই মানুষ হই ✍️😌
*বিশালগড় সিপাহীজলা ত্রিপুরা ভারত*