তোমার কন্ঠের ধ্বনিতে,
আজ পেয়েছি স্বাধীনতা,
তুমিই সাহসী,
তুমিই বীর,
তুমিই মুক্তিযুদ্ধা।
আজ ভোরে ভোরে পাখিদের,
কলরব জাগে।
ঘাসে ঘাসে নতুনত্ব
ঘাসফুল ফোঁটে।
দীঘির জলে নতুন নতুন,
শিশির বিন্দু জমে।
আকাশে স্বাধীন ভাবে,
পাখিরা উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে,
আমি তো তোমাকে দেখিনি,
জেনেছি শুধু তোমাকে।
কেউ কেউ বলে তুমি আছো
কেউ কেউ বলে তুমি নাই,
অথচ,
আমি সেই স্মৃতির শত পুরোনো
রক্তাক্ত দেয়ালে তোমায় খুঁজে পাই।
মাঝে মাঝে শেষ কালিতে,
পত্র লিখি তোমাকে,
দুলাইন লেখার পর হঠাৎ,
তাতে রক্ত ঝড়ে পড়ে।
ভয় পাই,ছিড়ে ফেলে দেই,
আমি চেয়ে থাকি ছেড়া পত্রে,
তুমি মুজিব মুচকি হেসে,
আমি আচমকা তোমার দেখা পাই।
তুমি তো ছিলে এক ফুটন্ত লাল ফুল,
জানিনা কতটা পেয়েছো কষ্ট
কতটা পেয়েছো আঘাত,
আমি শুধু জানি তুমি নির্মম,
তান্ডব স্বৈরাচারী গণহত্যার শামিল।
আমি তো জানি তোমাকে মেরেছে কারা,
তুমি নিশ্চিত থেকো জাতির পিতা,
বিচার একদিন তাদেরই হবে,
তোমাকে নির্মমভাবে রক্তাক্ত করেছে যারা।
আমি তো তোমাকে দেখিনি,
শুধু পথ চেয়ে থাকি এই ভেবে ভেবে
তোমাকে দেখার জন্য,
হয়তো তুমি আবারো ফিরে আসবে।
মুজিব তুমি মৃত নও,
তুমি বাঙালীর শিরায় শিরায় জাগ্রত,
তুমি বুকের ভেতর রক্তক্ষরার,
গড়িয়ে পড়া প্রবাহমান লাখো কোটি স্রোত।
যখন আমি হঠাৎ শুনতে পাই,
তোমার বজ্রকন্ঠের ভাষণ,
হৃদয়ে হৃদয়ে স্বস্তি পাই,
গায়ে উঠে শিহরণ।
আর তো ফিরে আসবে না,
ঐ তাজা ১৬ ই ডিসেম্বর,
এসেছিলো শুধু একবার,
তোমারই উনিশশো একাত্তর।
তুমি আমাদের গর্ব,আমাদের গৌরব
তুমি থেকে যাবে চিরকাল,
তুমি ছিলে, তুমি আছো,
তুমি থাকবে শতবর্ষ,
কারণ তুমি রক্তেভেজা
একাত্তরের মুজিব।
তুমি লাল-সবুজের মাটিতে ফুটন্ত ,
শত ফুলের সৌরভ,
তুমি পাক-বাহিনী জ্বালিয়ে দেয়া,
জলন্ত এক প্রদীপ।
তুমি লাখো জনগনের মুছিয়ে দিয়েছো,
ছলছল চোখের পানি,
তুমি শত মানুষের হৃদয়ের ভেতর,
গর্জে উঠা কন্ঠে , হিংস্র প্রতিধ্বনি।
তুমি বাঙালির অন্তরে,
মিশে থাকা গভীর দীর্ঘশ্বাস,
তুমিতো আমার রঙতুলিতে আঁকা,
সাদা কালো ক্যানভাস।