5/5 - (1 vote)

যেটা এতক্ষণ আমার প্রেমিকার ঠোঁটের মাঝখানে পুড়ছিলো
সেটা একটি সিগারেট!
বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে এরিমধ্যেই কতো কি পুড়ছে, আরও পুড়বে
এরিমধ্যে কত্ত কি হচ্ছে পুনঃনির্মাণ, পুনঃর্জন্ম, হিসেব বরাবর একই—ক্ষতি নেই।

তখনও বায়ুমণ্ডলে ছিলাম, ধোঁয়ার কুন্ডলী থেকে আগুনে, ছাঁইয়ে
ভিতরে তামাকের গুড়ো ভর্তি আমার স্বল্পায়ু শবদেহ।
রিফাইন্ড তুলোর ভিতর থেকে প্রেমিকার ঠোঁটে—
মেয়েটি যে মনুমেন্টের উপর দাঁড়িয়ে সিগারেট’টি ফুঁকছে বস্তুত;
সেই তল’টি আমারই ভূগর্ভস্থ কবর।
যেখানে কালের পর কাল ধরে সংরক্ষিত আছে আমার প্রাণ, জল, বায়ু।
( শ্বেত পাথরের এপিটাফে খোদাই করে লেখা; “স্মোকিং কিলস্” )
আমি পাতাল থেকে একটি উদ্ভিদের শরীর নিয়ে জন্মেছিলাম,
নামকরা এক কর্পোরেট কোম্পানি আমারই মাথাটাকে তামাক পাতা ভেবে কুচি কুচি করে কেটে বাজারজাত করছে নামীদামী ব্রান্ড সিগারেটের ভিতর।
ওনারা আমাকে পৌঁছে দিয়েছে, আমার প্রেমিকার ঠোঁট থেকে ফুসফুস, ফুসফুস থেকে মগজ এমনকি হৃদয়; জীবদ্দশায় যাকে হৃদয় দিয়েই ছুঁতে চেয়েছিলাম বহুবার! আমি পারিনি।
কর্পোরেট কোম্পানিটিকে আমার অকুণ্ঠ ভালোবাসা।
শ্যামা মেয়েটি–আমার প্রেমিকা, তার চোখজোড়ায়;
অতি প্রয়োজনীয় একটি সভ্যতাকে গোপন করে রেখেছে।
আর তাকিয়ে আছে মহাকাশের দিকে..

যেটা এতক্ষণ আমার প্রেমিকার ঠোঁটে পুড়ছিলো
সেটা একটি সিগারেট! একটা ব্যান্ড।
সেই মনুমেন্টের সব উঁচুতে দাঁড়িয়ে ডাগর চোখের শ্যামা মেয়েটির সিগারেট টানার দৃশ্য, বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সুন্দরের একটি।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments