শেষ একটি রাতে,
সিগারেটের মধ্যে অসুস্থতা কাটিয়ে,
আমি, আমি কথক, আত্মহত্যা করে নিবো।
প্রয়োজন নেই আমার কিছুরই,
দরকার নেই আমার কোনো কিছুরই।
আমি একটি অসুস্থ শব্দ,
জন্মেই আমার দগদগে অভিশাপ।
মা ভুলিয়ে রেখেছিলেন এই অভিশাপ,
তাঁর আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখতেন এই অভিশাপ।
আহ্, , নিয়তি,
তাঁর আঁচল পুড়ে গেল আমার এই অভিশাপে।
বিষাদী মা আর কখনো সুন্দরী হলো না এরপর,
অভিশাপ তাঁকে পুড়িয়ে দিল,
করলো আঁচলহারা।
মাতৃহন্তক যে এই অভিশাপ।
বিষাদী মা আর নদী লক্ষ্যা,
ছাড়া কেও আর জায়গা দেইনি।
লক্ষ্যা নদীটি আমার ভেতর ঠিকই দেখেছিল,
আমাকে তাঁর শরীরে সাঁতরে বেড়াতে দিয়েছিল।
বিশ্বাস করতো আমাকে,
অনেক চেয়েছিল আমার অভিশাপ ধুয়ে নিতে।
নদী লক্ষ্যা আর কখনো সুন্দরী হলো না এরপর,
অভিশাপ তাঁকে দূষিয়ে দিল,
করলো স্রোতহারা।
মাতৃহন্তক যে এই অভিশাপ।
আমি জন্মাই কবিতার মৃত্যু হওয়া শতকে,
দেখো শাশ্বত সুখের জন্যই আমাদের স্বর্গে বিশ্বাস।
এখন আর বিশ্বাস নেই,
এখন আর কবিতা নেই।
সব কেবল অসুস্থতা
বিশ্বাস? এক সর্বনাশা অসুস্থতা,
কবিতা? এক সর্বনাশা অসুস্থতা।
কতটা বিশুদ্ধ আমার নিজ অসুস্থতা,
পৃথিবীর সবচাইতে শ্রেষ্ঠ অসুস্থ শব্দটি আমি।
কৈশোরের প্রেম ভাঙায় বিশুদ্ধতা,
নিয়ে আসে কারণহীন অসুস্থতা, আসে যৌবনা,
বন্দরে বন্দরে যৌবনের ক্লান্তহীন যাত্রা।
যৌবনের ক্লান্তহীন যাত্রা, তাই ত্যাগ করে,
আমি, আমি কথক, চালালাম বুকে গুলি,
বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল সীসার গুলি,
গুলি দিয়েই হলাম শেষ, অভিশাপ মোচন।
বিষাদী মা? নদী লক্ষ্যা?
তোরা কোথায়?
আমি এসেছি, আমি এখন শৈশবে,
আমার আর কোনো অসুস্থতা নেই,
আমার কপালে কোনো অভিশাপ নেই।
আমাকে তোরা জায়গা দে?
আমি আর কিশোর হবো না,
আমি হবো সেই দুরন্ত ছোট্ট বালক।
সবাই ভাবে,
আমার কথাগুলো খুবই অনর্থক,
আমার কথাগুলো খুবই মিথ্যুক।
তার প্রমাণ আমি, আমি কথক, দিয়ে যাবো,
এই কথাগুলো সত্য হবে, আমি দেখিয়ে দিবো।
শেষ একটি রাতে,
সিগারেটের মধ্যে অসুস্থতা কাটিয়ে,
আমি, আমি কথক, আত্মহত্যা করে নিবো।