শরীরে বিষিয়ে ধরা তাপ অনুভব করি,
কারোর উদর যেন নোংরা নরক,
কারোর উদর যেন পবিত্র স্বর্গ।
আঙুলে, ত্বকের পরতে পরতে,
মিশে যাওয়া
ঘৃণা অনুভব করি।
চোখ বুজতেই,
মায়ের কালো ওড়না,
চোখে ভাসে।
আরোও ভাসে,
কালো ওড়না সিলিংয়ে টানিয়ে,
গলায় বেঁধে ঝুলে পড়ার,
এক কাল্পনিক স্মৃতি।
এত সত্য মনে হয়,
সেই স্মৃতিকে!
ঘুমন্ত সুন্দরী মায়ের সাথে,
খেটে যাওয়া বাবার চেহারার,
কারণেই তো এই স্মৃতি কাল্পনিক।
আমাকে তাও কেও বাহবা দিলো না।
আরে বেজন্মা তোরা,
কী বুঝবি আমারে?
আমি কী নিজ ইচ্ছায় আসছি?
হ্ খোদা ফালায় দিছে, তা ঠিক।
কিন্তু খোদায় এরপর করলো কী?
বাচ্চাটারে করলো কী?
কীসের ভিতরে ফালাইলো?
বিশুদ্ধ ভালোবাসায় ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে থাকা,
আমার সুন্দরী মা আর খেটে যাওয়া বাবাকে,
আবারো দেখি,
প্রায় রাত দেখি।
কেন জানি আর ভীষণ সুন্দরী মৃত্যুর কাছে,
যাওয়া হয় না।
কিছুই করা হয় না।
মেকি-সন্ন্যাসিনীর অস্তিত্ব,
মায়াবী-দ্বিধায়,
অসহায় লাগে,
বিভ্রান্ত লাগে,
দুর্বল লাগে,
খালি সখ জাগে,
একবার নরকে যাবার।