আবারো বলছি,
বিকৃত সন্ধ্যায় আশ্রয় দিও,
তোমাকে অর্জনের জন্য,
দিতে পারি জৈবিক সত্তার বিসর্জন,
দিতে পারি হাজারো বকুলের দেনমোহর,
পারি নাভিমূলে চালিয়ে দিতে মরচে পড়া ছুড়ি,
পারি জাহাজী হয়ে নোনা পারাবারে নির্বাসনে যেতে।
নিষ্কলঙ্ক-বিশুদ্ধ-ঈশ্বরীক প্রেমের শিবিরে আশ্রয় দিও,
বন্দী কোরো আমার মৃত্যু; দ্যূতি-আত্মা-ঘৃণা-ক্লেশ।
নির্বাক করে হতভাগা কোরো না আমাকে,
অসুন্দর-অসুস্থ জীবন উপহার দিয়ে,
ঘীনঘীনে ঘৃণিত মৃত্যু দিয়ো না,
বেঁচে থাকার মন্ত্রণা দিয়ো না,
দিয়ো তোমার আঁচল।
অশ্রুজল ফেলো না,
জ্যান্ত কবরে ফুল দিয়ো না,
শ্রুতিতে গেঁথেছে তোমার নাম-কন্ঠ,
তাই পরিচয় অস্বীকার কোরো না,
যেই বিদায়ের প্রতিভাস হয় ক্লান্তি,
দিয়ো না তেমন প্রেমে বিষানো অন্তিম বিদায়,
ছায়ালোকের মেকি-মিথ্যুক মঞ্চনাটকে নিয়ে যেয়ো না।
চাইলে খুড়ে বের করে মর্ত্যের আলো দেখাও,
কিন্তু এমনে প্রেমের তামাশা কোরো না তুমি,
নীল আকাশে জল রঙে আঁকা মেঘ তুমি,
আর আমি ঝলসে যাওয়া ধ্রুবতারা,
এই হরিৎ পৃথিবী ক্রমশ হারাবে,
তুমি হারাবে আমার প্রেমকে,
আমি হারাবো বিশ্বাসকে।