কবিতা লিখে যাবো, কারণ কবিতারাই শান্তি দেয়।
কবিতায় লিখে যাবো- কবিতাদের,
আর লিখবো ভ্রান্ত এ মানবজাগরণের উপ্যাখান,
সাথে আত্মহারী প্রেমের উপ্যাখান লিখে যেতেই পারি,
যা অন্ধ-বিভৎস বনের মাঝে মাটি চিড়ে বেরেইয়ে থাকা, এক লাল গোলাপের মতোন।
শুনো,
আমাকে তোমরা কেও আর মানুষ বলে পরিচয় দিও না,
আমি বেশ যোগ্য কবি এবং প্রেমিকের চরিত্রে।
আর শুনো,
মানুষ সৃষ্টির যেই শ্রেষ্ঠ-সৃষ্টি তাদের থেকে অনেক দূরে,
অন্তরে এবং শরীরে দুই রূপে।
পৃথিবীতে শিশুদের প্রেরণ করা হয়,
গোলাপ হয়ে ফুটে থাকবার জন্যে।
হ্যাঁ যা-
অন্ধ-বিভৎস বনের মাঝে মাটি চিড়ে বেরেইয়ে থাকা,
এক লাল পবিত্র চিহ্ন হয়ে।
কিন্তু হায় আফসোস শিশুরাও মানুষ হলো,
ছোট থেকে বড় হতে হতে শিখে নিল-
মানব ধর্ম, ধর্মের নামে অধর্ম,
ভালোবাসার নামে প্রবঞ্চনা,
ভালোবাসার নামে অহংকার,
ভালোবাসার নামে মিথ্যা,
শিখলো কেবল জঘন্য সব চরিত্র।
জাগতিক মুদ্রা এবং বস্তুবাদী সুখের পিছে দৌড়িয়ে,
মৃত্যুর সাথে ভীতুর মতো সাক্ষাৎ করলো।
কী পারলো তারা?
একটি কবিতা বুঝতে?
একটি ঐশ্বরিক বানী বুঝতে?
একটি সুন্দর ভালোবাসা বুঝতে?
তারা কেবল শিখলো আদম-হাওয়ার,
শিশু পয়দা দেবার কৌশল।
নোংরা থেকে নোংরা হয়ে উঠলো,
কেবল যৌনতাড়না।
হায় ঈশ্বর!
দেখা দাও!
মৃত্যুকে তোমার করুণা হিসেবে দেখা দাও,
যমদূত বা আজরাইল রূপে নয়,
তোমার প্রেরিত কোনো বার্তাবাহকের রূপে দেখা দাও।
হায় ঈশ্বর!
করুণা করো!
আবার শুনো,
কবিতাই শ্রেষ্ঠ,
সব ঐশ্বরিক গ্রন্থই কবিতা,
কবিতা বুঝতে পারোনি দেখেই,
তোমরা সেসব বানী বুঝোনি।
কবিতা না বুঝতে পারা অভিশাপেই,
তোমরা আজ মানুষ না।
তোমরা ঈশ্বরকে একবারও ডাকতে পারলে না,
কেবল জিকির করলে ঈশ্বরের নিরানব্বই নামে,
কেবল ধ্বনি দিলে নানা মন্ত্র জপে
কী দুর্ভাগা তোমরা!
একটি কবিতা জড়ানো প্রার্থনা করতে পারলে না,
ঈশ্বরের কাছে।
কবিতা খুবই সুন্দরী,
পৃথিবীতে একমাত্র ঈশ্বরের সাথে সংযোগ-তার।
হয়ে ওঠো জীবিত-মৃত,
মৃত্যুকে যমদূত বা আজরাইল রূপে নয়,
বরং ঈশ্বর প্রেরিত কোনো বার্তাবাহকের রূপে,
তাকে জড়িয়ে ধরো।
তোমরা কবিতা বুঝার চেষ্টা করো,
পবিত্র হয়ে উঠো,
আমার মতো সুন্দরী হয়ে উঠো।
সাধনা করো সর্ব-সত্য ভালোবাসার,
পারবে, তোমরা পারবে।
আমি কবি হিসেবে সাক্ষী দিচ্ছি তোমাদের।
শুনছো তো?
ভালোবাসায় এসেছি আমরা,
আমার প্রেমিকার কথা বলছি।
আমার প্রেমিকা, হায়!
তার কালচে-বাদামী কেশেরা যেভাবে ঝড় তুলতো,
যেন সুরভী-সুবাসী এক অতিপ্রাকৃত সুন্দরী ঝড়।
সে তার মুখের পেশীতন্তুদের নাড়ায় যেভাবে হাসতো,
যেন পরজাগতিক-কাব্যিক স্বর্গের সুরেলা অভ্যর্থনা।
কত কিছুই যে আমার হতো!
বিশ্বাস করো,
তার স্পর্শ আমার যেসব অংশে লেগেছে,
তারা পবিত্র হয়ে গেছে।
আমি তো প্রেমিক,
খুবই যোগ্য-কবি প্রেমিক।
আমি আমার প্রেমিকাকে মিথ্যা বলিনি,
তাকে বলা সব কথা,
আমার খুব স্বল্প বেঁচে থাকা,
অনুভূতি নিংড়ানো ভালোবাসা।
আমিই তো ভালোবাসবো তাই না?
আমাদের শরীরেরা এক হয়ে,
যেই স্বর্গীয় চিত্রে পরিণত হয়েছিল,
তা তোমাদের কারোরই কল্পনার ক্ষমতা নেই।
তাই আমি এবং আমার প্রেমিকা আমরা ঐশ্বরিক।
আমি তাকে ততটুকুর থেকেই বেশি ভালোবাসি,
যতটুকু সে আমাকে ভালোবাসে।
হ্যাঁ সেও আমাকে ভালোবাসে,
আমিও তাকে ভালোবাসি।
সে অতি সুন্দরী,
অতি স্পষ্ট,
অতি পবিত্র,
অতি সুরভী।
আহ্ হাহা,
আমি উন্মাদ হয়ে উঠছি তাকে ভেবেই,
তো হ্যাঁ,
মানুষেরা,
যারা মানুষ হতে পারোনি।
তাদের বলছি,
তোমরা মানুষ হও।
মৃত্যুকে দ্রুত জড়িয়ে ধরো,
কবিতাকে একটু অনুভূব করো,
ভালোবাসায় উম্মাদ হয়ে ওঠো।
আমি তোমাদের আবেদন করছি,
করছি নিবেদন
আদর করে, জোর করে, লজ্জিত করে-
প্রেম দিয়ে, ঘৃণা দিয়ে, অপবাদ দিয়ে-
যা যা করতে হবে তা করে,
যা যা দিতে হবে তা দিয়ে,
সব কিছুতেই বলছি,
মৃত্যুপ্রেমী-কবিতাপ্রেমী-সত্যপ্রেমী হয়ে উঠো।
বিদায় সবাইকে,
ধন্যবাদ, কবিতাটি শুনবার জন্য,
ভালোবাসা, কবিতাটি অনুভব করবার জন্য,
বিদায়!