4/5 - (2 votes)

যখন সময় হামাগুড়ি দেয় বিনিদ্র রজনীতে,
বিক্ষিপ্ত চিন্তারা ছুটে চলে স্নায়ুতন্ত্রের বাঁকে বাঁকে,
চলতে চলতে পথ হারায় নিশীথের অন্ধকার,
তখন সে ঘন তমসার বুক চিরে নির্গত হয়
কার মুখের মায়াবী জ্যোতির বিচ্ছুরণ।
আমি বিস্ময়ভরে জিজ্ঞেস করলাম—”কে তুমি?
কী চাও? চিন্তার পথ আগলেছো কেনো?”
কিছু বলে না মুখে, শুধু চেয়ে থাকে অনিমেষ।
চোখের ভাষায় স্মিতহাস্যে বললো—
“আমি তোমার চিন্তার সান্ত্রী, ভাবনা-বৃত্তের কেন্দ্র,
তোমার ভেতরেই আমার নিবাস।”
বললাম—”তবে তুমি নতুন কেনো? তুমি তো চিরচেনা।”
সে বললো—”চিন্তায় চিরচেনা, নতুন হই তোমারই প্রেমে,
তোমার প্রেম আমাকে পুরোনো হতে দেয় না।”
আমি হেসে বললাম—”এ-ই যেনো হয় চিরদিন।”
দৃষ্টির নিবিড় পরশ বুলিয়ে বললো—”তবে ঘুমিয়ে পড়ো।”

তারপর মন্ত্রমুগ্ধের মত ডুবে যাই অন্ধকারে,
অলস তন্দ্রার শিরশিরে অনুভূতি বন্ধ করে নয়নঠুলি,
তবুও সে ঠায় চেয়ে থাকে অপলক।
নিঁদ-সাগর পাড়ি দিয়ে অকস্মাৎ চোখ খুলে দেখি
একি! তখনো সে চেয়ে আছে।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments