সিদ্ধান্তহীনতায় বসন্ত-পথ দিচ্ছি পাড়ি
চারিদিকে আহাজারি, তবু শরীরে ঘাম!
মৌমাছি পেলেই মেলে ধরি সব পাপড়ি
ছুঁয়ে দিলেই নামে বৃষ্টি, চোখে ফাগুন দৃষ্টি
দেহ নদীর উত্তাল ঢেউ, ছলাৎছলাৎ
এভাবেই হঠাৎ কেটে যায় আগুন-রাত।
শরীরে টিপটিপ বৃষ্টি, নেই রিমঝিম শব্দ
শীতগ্রীষ্ম নয়, সৌরভে টইটম্বুর সবসময়
কোকিলের অনুযোগ, কুউহু কুউহু দুই যুগ
চৈত্রের দাবদাহে চৌচির, খরা পীড়িত হৃদয়
প্রণয় থেকে প্রলয়, না-কি প্রলয় থেক প্রণয়?
বৃত্ত বন্দী জীবন পৌনঃপুনিক
বসন্তের আগমনে ভুলে যাই সবই
ভুলে যাই ময়ুরের রাধিকা সাজ
ভুলে যাই অতীতের ডুবো বলুচর
ভুলে যাই মেলে ধরা আগামীর পথ।
একটু হাসি, দুষ্টুমি ভরা চাহনি
দিচ্ছে হাতছানি কামনার উল্লাসে
সব ভুলে আমিষ-নদীর স্রোতে দিই ঝাপ
যে সম্ভোগে সম্মতি, সেই ভোগে নেই পাপ।
ফুলে ফুলে নয়, ভুলে ভুলে পথের শেষে
কাছে এসে সম্পর্ক সেলাইয়ের সুতো খুঁজি
নিয়তি বা উচ্ছ্বাস, কাউকে দেই না দোষ
বর্তমানে খুব দরকার কিছু বোকা মানুষ।
খুব সুন্দর স্যার।