কী করছিস রে তোরা?
হ্যাঁ, গাড়ি কিনতে পারিনি, বাড়িও বানাতে পারিনি।
আমার জননেত্রী হওয়া তো দূর, লোকজনের ভিড় থেকে নিজেকে সরিয়েই নিয়েছি।
কলকাতার বাইরে, একটু দূরে, গ্রামের ধাঁচের এক শান্ত জায়গায়,
রাতে যখন কলাপাতায় শিশির জমে, সেই সামান্য দৃশ্যেই মন ভরে যায়।
আমার কবিতাগুলো যেন একদিন ধীরে ধীরে হারিয়ে গেল।
রাত হলে তারাভরা আকাশের নিচে গিয়ে বসি।
মেঘ ডাকলে মনে হয়, দূর থেকে কোনো পুরোনো জাহাজের গর্জন শুনতে পাচ্ছি।
বিদ্যুৎ চমকালে চোখের সামনে যেন অদ্ভুত সব দৃশ্য ভেসে ওঠে,
যেন কোনো পুরোনো নাটকের ডাইনি চুল ছেঁড়া নিয়ে পাগলপারা হয়ে যাচ্ছে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে মনে হয়, যেন বিশাল কোনো সমুদ্র দেখছি।
আবার কখনো মাঘের পূর্ণিমায় দেখি, আকাশজুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে সাদা রাজহাঁস,
আর ফেলে যাচ্ছে সোনার মতো উজ্জ্বল ডিম।
তোরা বল, গাড়ি কিনতে পারলাম না, বাড়ি গড়া হল না।
স্বপ্নের ইঁটগুলো সাজিয়ে আবার ভেঙে ফেলি।
কিছুই হতে পারলাম না।
ট্রেনে চেপে যাই, আসি,
আর সেই কবিতা-ক্লান্ত নারীর জন্য সবকিছু খুইয়ে বসে আছি।
হয়তো জীবনটাই এরকম কাটবে…
তোরা সব ভাল আছিস। আমি আছি নিজের মতো করে।