গতকাল একটু সন্ধ্যায়ে হাঁটতে বের হয়েছিলাম
শীতকাল বাইরে বেশ ঠাণ্ডা ,
অল্পস্বল্প লোকজন ছিল বাহিরে
হাঁটতে হাঁটতে নদীর ধারে চলে গিয়েছিলাম।
রাতের বেলাটা তেমন অন্ধকার না
আকাশটা বেশ পরিষ্কার লাগছিলো ,
বেশ ভালো করে সাদা মেঘগুলো দেখা যাচ্ছিল
বাহিরে বেশ হিমশীতল বাতাস বইছিল ।
বেশ আনন্দ ফুরফুরে মেজাজে
আমিও হাঁটতে শুরু করলাম ,
একবার পুরো নদীর পাড় ঘুরে আসতে পারলে
অনেক খালি হাঁটা বা পরিশ্রম হয় ,
সাথে পানি আর গরম চা থাকে ।
মাঝে মাঝে জুতোর ফিতে খুলে যায়
সেটা আবার বেঁধে চলতে শুরু করি
চারপাশে মানুষগুলো ভীষণ স্বাস্থ্য সচেতন
দেখে ভালো লাগে ।
হাঁটতে হাঁটতে কত কিছু মনে পড়ে যায়
কি করবো সেটা ভাবতে থাকি,
সেই সময়ে বাসা থেকে ফোনে আসে
মেয়ে ফোন করেছে ।
মেয়ের গলা শুনে অনেক ভালো লাগছে
জিজ্ঞাস করলাম “তোমার পড়া কি শেষ হয়ে গেছে ? ”
মেয়ে উত্তর দিল ” মা শুধু কাঞ্জি লেখা বাকি আছে ।
আমার খুব ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে ইচ্ছা করছে আর লেমন চা । ”
শুনে খুব মায়া লাগল
মেয়েটা খুবই বড্ড ভালো
তেমন কিছুর চাহিদা নেই
শুধু বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজিয়ে রাখে
আর তার নিজের ছবি আঁকার জগতে ।
নতুন নতুন ছবি এঁকে যায়
আর আমাকে দেখাতে ব্যাকুল প্রাণে থাকে ,
ভালোবাসা পাবার জন্য
ভালোবাসা লাগে তো কিছু নতুন সৃষ্টি করতে।
এবার হাঁটা শেষ এবং মিশন শুরু হল কোথায় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পাওয়া যায় !
ভাগ্য ক্রমে পেলাম তেলে ভাঁজা আলু ,
আর সেই লেবুর সুবাস ভরা গরম চা
এবার বাড়ি যাই আবার আসবো ফিরে ব্যাকুল প্রাণ নিয়ে ।
2022-02-15