Review This Poem

তোমগর খোলা চুলের চৌহদ্দিতে হান্দাইলেই
আমার রিরংসা জন্মাইয়া যায়। একত্রিশ বছর ধইরা
চুলকাইয়া চুলকাইয়া বড়ো ঘাও কইরা হালাইছি
দুইডা অপুষ্ট চরপাডার খোসপাঁজড়ামুখে!
আইজকা যদি সঙ্গমে যাই,
আইজকা যদি চামড়ার নিচ থেইকা
চুইষা চুইষা তুইলা আনি দু-এক চউল দাউদের রস
আমারে কি তবে শিখাইয়া দিবা বিশুদ্ধ যৌনাচার?

আমারে শিখাই-বুঝাই দিওনের কুনু বন্ধু নাই
যৈবন আয়ুনের পর থেইকাই আমি নির্বান্ধব।
শৈশব-কৈশরে যারা বন্ধু আছিলো
অরা অহন সর্বভূক শহরের বিখ্যাত সেলফিবাজ।
অরা অহন আর পানি খায় না, খাওনের আগে-পরে সেলফি খায়
অপিসের ফাঁক-ফোকরে একদন্ড জিড়াইয়াও নেয় না, সেলফি নেয়
লুদিপড়া বউয়ের শরীল ঘেইষা খাড়ানো ছবি দিয়া
শেষ রাইতের ফেসবুক-পুস্টে প্রমাণ দেহায়-‘পুরুষ’!

অহনও আমি উথালপাথাল জরাজীর্ণ মনের মইধ্যে
একখান মাইয়া মুহের ‘কোলাজ’ টাঙ্গাইয়া ঘুরি!
কুনুদিনই তো ছানবার পারি নাই
তোমগর আলস্যঘিরা উন্মত্ত বুহের ততা ওম,
একটুও গিলবার পারি নাই ষোড়শীকালীন থকথকে চঞ্চুরস।
তাই, রাইত গভীরে মনে সাঁডানো ছবির বুহে ছানি,
ঠাহর করি, গহীন জঙ্গলের ঝোপঝাড়ে আইটকা পড়া
কুপোকাত যৈবনের কাডি খাড়াইয়া যায় কি না!

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments