আমার ছেঁড়া সেলোয়ার ঝুলে আছে কাঁটাতারে,
বেয়নেটের ভেতর দিয়ে আসা সূঁচালো ধাতুর বুলেট আমাকে বুকের গোলাপি মাংসপিন্ডে বিধে আছে-
জমে গেছে রক্ত।
ব্যথায় কুঁকরে আছি,
নিঃশ্বাস আস্তে আস্তে থেমে যাচ্ছে।
কোঁকড়ানো চুলে বারুদের তাজা গন্ধ,
শিরা উপশিরায় বেদম টান ধরেছে,
গলা বেয়ে নোনা লালজলের ফোয়ারা নেমে নাকের ছিদ্র দিয়ে মগজে আসছে,
অসাড়তা আর নিস্তব্ধতা ভর করছে দেহে।
আমার যুবতী বুকের রক্তাক্ত ওড়না শুয়োরে শুকে শুকে চলে যাচ্ছে।
অথচ এই বুকে কোন দিনমজুরের রাত অনায়াসেই চলে যেতো,
সেদ্ধ ভাত আর গরম ধোঁয়ায় হয়তো মাস যেতো,
রোমাঞ্চকর সব দিন নরম আঙুলে বিলি কাটতো,
হাতে মেহেদী, নাকফুল আর পায়ে আলতা আর দেয়াটা হলো না!
আমার স্বপ্ন দেখাটা যে দোষের ছিলো সেটা রাষ্ট্র জানতো কি না আমি জানিনা।
রাষ্ট্র আজ ব্যাপক রোমান্টিক!
আমার জন্য মর্গে ড্রয়ার জোটেনা,
একটা কফিন জোটেনা,
জোটেনা মাটিতে পুতে দেবার জন্য একটুকরো জায়গা।
আমাকে নিয়ে চলে সীমান্তে চলে ঠেলাঠেলি;
নিজেরা নিজেরা ঠেলাঠেলি না করে,
রাষ্ট্র আসুন শবদেহের উরু খালি আছে।
আমি মরে যাচ্ছি আজ!
আর একটা ফেলানিও যেন না ঝুলে থাকে রাষ্ট্র।