আমার সব অধিকার স্ট্যাম্প পেপারে লিখে নিয়ে
আমাকে দস্তখত করতে বললো জীবন।
আমি পড়ে দেখলাম-
যেখানে কোনো অতীত চিহ্ন রাখা যাবে না,
স্মৃতি থাকা যাবে না,
বন্ধুর ঠাঁই থাকবেনা,
পায়ের তলায় মাটি থাকবেনা,
সম্পত্তি থাকবেনা; সম্পদ থাকবেনা,
আশা আকাঙ্ক্ষার যেখানে বলিদান দিতে হবে,
এই মর্মে আমি কিভাবে দস্তখত করি!
আমি যদি জীবনকে ফিরিয়ে দিই
তাহলে জীবন আমার থেকে অস্তিত্ব কেড়ে নিবে,
ফিরিয়ে না দিলে কেড়ে নিবে আমার সব অধিকার।
কী এক মস্ত বড় বিপদ!
সমাধানের পথ নেই;
চলার রথ নেই,
বলার শক্তি নেই,
নেই,আজ আর কিছুই বোধহয় অবশিষ্ট নেই।
তবুও সবকিছু না থাকার মাঝে কিছু একটা থাকবে,
এই ভেবে জীবনের মুখোমুখি দাঁড়ালাম নির্ভয়ে।
জীবনকে প্রশ্ন করলাম-
কী চাও আমার কাছে,’আমাকে নাকি অধিকার’?
আমাকে চাইলে সঁপে দিবো অবলীলায়,
কিন্তু-অধিকার কেড়ে নিতে চাইলে তুলকালাম বাধিয়ে দিবো
ধ্বংস করে দিবো বিশ্ব মানচিত্র থেকে কতগুলো নাম,
এক ইশারায় দিয়ে দিবো তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ডাক।
যে জীবনে অধিকার থাকবেনা সেই জীবন চাই না,
চাই না ভঙ্গুর হয়ে টিকে থাকতে এই পাড়ায়,
অধিকার দিলে ভালোবেসে যাবো আজীবন,
মাথা উঁচু করে টিকে থাকতে চাই বীরের মতোন।