Review This Poem

কথা ছিলো কোন এক শ্রাবণের দিনে ভিজবে আমার সাথে,
হাটতে হাটতে যাবো বহুদূর।
টুপটাপ বৃষ্টি পড়বে,
মাথার উপর থাকবেনা কোনো ছাতা।
দখিনা হাওয়ায়-
তোমার এলোকেশী চুল উড়বে,
উড়তে উড়তে একসময় আমার
মুখের উপর আঁচড়ে পড়বে তোমার চুল।

চুলের মাতাল করা গন্ধে আমি-
উতলা হয়ে যাবো ক্ষনিকের জন্য,
মন ভরে-
চুলের সুবাসিত গন্ধ উপভোগ করবো।
বৃষ্টির মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকবে,
আমাদের থামার কোন নামগন্ধ
থাকবেনা তখন; হাতে হাত রেখে
অগ্রসর হবো অচেনা পথের রাস্তায়।
হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই,
প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ হারায় নাহ।
তুমুল বৃষ্টিপাত দেখে –
মানুষ সব ঘরে ঢুকে যাবে,
রাস্তাঘাটে কোনো মানুষ থাকবেনা সেদিন।

কাক-পক্ষীরাও যে যার মতো করে
তাদের বাসায় পৌঁছে যাবে,
অচেনা মানুষ দেখলেই ঘেউঘেউ করে চিৎকার করা কুকুরগুলোও
নিরুদ্দেশ থাকবে সেই মূহুর্তে।
হেটে হেটে যখনই চিরপরিচিত
রাস্তায় আসবো; যে রাস্তায় আনাগোনা করে আমাদের শৈশব কেটেছে,
আমাদের কৈশোর কেটেছে
যে রাস্তায় হাটতে হাটতে –
যে রাস্তার পাশেই ছিলো
আমাদের আড্ডাস্থল-
সেখানে পৌঁছাতেই শুরু হবে
ভয়ংকর বজ্রপাত!
হাত ছেড়েই মুখ গুঁজে ঠাঁই নিবে
আমার বুকের সীমানায়-
বজ্রপাতের আওয়াজ যত তীব্র হবে,
তোমার আঁকড়ে ধরার অনুপাত
তত বাড়তে থাকবে।

তখন বলতে ইচ্ছে হবে-
এত শক্ত করে
কেউ কাউকে ধরে পাগলী মেয়ে!
তবুও বলবো নাহ কিছুই,
শুধু নিজেকে নিজে বুঝাবো-
“ভালোবাসা” শক্ত করে ধরতেই শিখায়।
নরম হাতের ধরায়
ভালোবাসা উড়ে যায়,পুড়ে যায়,
ছেড়ে যায়,দূর থেকে বহুদূরে যায়।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments