তুমি বলেছিলে আবার আসবে ফিরে!
সেই ক্ষণকাল থেকে আমি দরজার অভিমুখে চেয়ে আছি তোমার আগমনের বার্তা পাওয়ার জন্য।
কিন্তু তুমি এখনো এলে না।
যেদিন তুমি বলে গিয়েছিলে আবার আমি আসব সময় করে, সেদিন জানো রাশি রাশি কালো মেঘ আকাশে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল।
চারিদিকে কেমন এক যেন ঘোর অন্ধকার। তারপর থেকে রাস্তাটাও কেমন নির্জন লাগছিল।
যেদিকে তাকাচ্ছিলাম যেন মনে হচ্ছিল শূন্য দিয়ে চারিদিকটা কেউ ঘিরে রেখেছে।
কতদিন হয়ে গেল তোমার হাতে খাওয়া হয়নি, তোমার কন্ঠে গান শুনিনি।
জানো তোমার প্রিয় আমের আচার আমি আজও যত্নে রেখে দিয়েছি। প্রতিদিন একটু একটু করে রোদে দিই।
আজ দু-দুবছর কেটে গেল তোমার সাথে দেখা নেই, সাক্ষাৎ নেই। একটিবারের জন্য তো আসতে পারো!
কেমন আছো তুমি বড্ড জানতে ইচ্ছা করছে আজ। জানো তোমাকে ঘিরে আমি প্রায় স্বপ্ন দেখি।
আজ যেন আমি বড্ড উদাসীন হয়ে পড়েছি, কোনো কিছুতেই মন বসছে না। কেউ কেউ মনে হয় আমার হাত পা দুটোকে শিকল দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করছে।
বড্ড একা একা লাগছে আজ।
দেখো ফাগুনের ওই আগুন ধারা বইছে কেমন চারিপাশে।
তুমি বুঝি আজ আসবে আবার!
আমি বাদে সব্বাই মাতোয়ারা রঙবেরঙের আবির রঙে।
দেখো দেখো পলাশও আজ গাছের ডালে দুলে চলেছে অবিরাম, ইশারা করে বোধহয় কিছু বলতে চায়।
সূর্যও আজ উদয় হয়েছে সেই কাক ভোরে, ধীরে ধীরে বেলা গড়িয়ে আসছে। সেও আর কিছুক্ষণের মধ্যে বিশ্রাম নেবে তার ক্লান্তি ঘরে।
পাখিরাও সব ফিরে ফিরে যাবে যে যার নীড়ে।
তুমিও কি আজ বিশ্রাম নেবে! দেখা করতে আসবেনা তোমার অভিমানীর সাথে!
শত শত প্রশ্ন ডাইরি তে লিখে রেখে দিয়েছি। একটিবার আসো জিজ্ঞাসা করব এক এক করে।
জানো কতগুলো কবিতা লিখেছি তোমাকে নিয়ে, আসো আসো সব শোনাব।
খাতায় করেছি আঁকিবুকি, হিসাব কষেছি শত শত দিন
কন্ঠে আজ তৃষ্ণা ভীষণ ঘুচিয়ে দিও সব যত ঋণ।
স্বপ্ন যখন নিদ্রা পূর্ণ, অহেতুক বাসা বাঁধে কেন তব
কথারা যখন শিকল বন্দী, চিরদিন অপেক্ষায় রব।
আশারা সব মিথ্যের জালে কেন মনে তব জাগে
সাজিয়ে রেখেছি পলাশ ফাগুন বসন্তেরই অনুরাগে।।